জাতীয়

পরীমনির রিমান্ড: দুই বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

(Last Updated On: )

 মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে রিমান্ড চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে মামলার নথিসহ (সিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরদিন আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য আরও একটি আবেদন দেন কিন্তু সেটিরও শুনানি হয়নি।

এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২৬ আগস্ট ওই আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এতে বিলম্বে দিন নির্ধারণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। এরপর আদালত রুল জারি করেন এবং শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন।

এর মধ্যে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে ২৯ আগস্ট  স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। ওই দিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব।

দুই দিন পর মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) শুনানি করে পরীমনিকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। বুধবার তিনি জামিনে মুক্ত হন।

এদিকে ধার্য তারিখ অনুসারে বুধবার রুল শুনানির জন্য হাইকোর্ট মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে নট টু ডে আদেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

আসকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মজিবুর রহমান।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

এরপর ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।