বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়ের ফোনালাপ দিবালোকের মতো স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সীমিত সংখ্যক সাংবাদিকদের সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের জবাবদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা নৈরাজ্যকারীদের সাথে যুক্ত হয়ে এক অপরাধ করেছেন, আবার এখন সেই অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা করে আরেকটা অপরাধ করছেন- দুই অপরাধেই বিএনপি অপরাধী।
বিএনপির দায়িত্বহীন রাজনীতি এবং অপরাধীদের লালন-পোষণের কারণেই এই সমস্ত অপশক্তি মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ পায়, উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধীদলেরও দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অনুরোধ জানাবো, কোনো ভুল দেখলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন, কিন্তু দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্বহীনের মতো কথা বলবেন না।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকার সমর্থিত লোকেরাই সাম্প্রতিককালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে ও নিপুণ রায়ের ফোনালাপ সরকারের বানানো’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, নৈরজ্যের ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে, তা পত্রপত্রিকাসহ সব গণমাধ্যমে আছে। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বের ব্যানারে এইসব ঘটানো হয়েছে। আর এদের মদদ দিয়েছে বিএনপি ও জামাত, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে বিএনপি’র নিপুণ রায়ের ফোনালাপ।
আর নিপুণ রায়ের ফোনালাপ দিবালোকের মতো স্পষ্ট, এটিকে বানানো বলা মির্জা ফখরুল সাহেবের বানোয়াট কথাবার্তারই পুণরাবৃত্তি মাত্র, মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর বাড়িতে হামলা, ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া, মানুষের দলিল যেখানে সংরক্ষিত থাকে, সেই ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে দলিল-দস্তাবেজ পুড়িয়ে দেয়া, নারায়ণগঞ্জে একজন সাংবাদিক তার নাম ‘সৌরভ’ বলার পর তাকে কলেমা পড়তে বলা, আরেক জায়গায় একজনের লুঙ্গি খুলে ধর্মপরিচয় জানার অপচেষ্টাসহ তারা যেগুলো করেছে, একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী সেগুলো করতো, উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সবাই পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।