ফেনীর সোনাগাজীতে খেজুরের গরম রসে ঝলসে যাওয়া সাত মাস বয়সী শিশু মোহন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টায় সে মৃত্যুবরণ করে।
শিশু মোহনের বাবা মো. মাসুদ পেশায় একজন কৃষক। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মধ্যে মোহন ছিল সবার ছোট।
শিশুটির বাবা মো. মাসুদ ও ফুফা মো.লিটন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, সকাল সাতটা থেকে চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের নামার চর (কোম্পানী বাজার) এলাকার বিভিন্ন গাছিদের কাছ থেকে পাটালি গুড় তৈরির জন্য রস সংগ্রহ করেন মাসুদের বাবা আবুল হোসেন (৭০)। সকাল ৯টার দিকে রস বাড়িতে আনার পর বড় টিনের পাত্রে (ডাবল টিনে) রস ঢেলে গরম করে গুড় তৈরি করছিলেন আবুল হোসেনের স্ত্রী অর্থাৎ মাসুদের মা। এ সময় আবুল হোসেন তার ছেলে মো. মাসুদের সাত মাস বয়সী ছোট ছেলে মোহনকে কোলে নিয়ে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে আবুল হোসেন মাথা ঘুরে কোলে থাকা নাতি সহ গরম রসের পাত্রের এক কোনে পড়ে যান। দাদা-নাতি দুজনেই গরমে রসে ঝলসে যান। বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে দুজনকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে বৃদ্ধ আবুল হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। শিশু মোহনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ১১টার দিকে শিশুটি মারা যায়।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বলেন, গরম রসে শিশু মোহনের মাথাসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং আবুল হোসেনের দুই হাতসহ শরীরের ১০ শতাংশ ঝলসে গেছে।