আন্তর্জাতিক

নরওয়েতে করোনার টিকা নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইউরোপের দেশ নরওয়েতে। এতে অতিবৃদ্ধ ও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এ টিকাকে মারাত্মক ঝুঁকি হিসেবে অভিহিত করছে দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে এ ভাইরাসের টিকার সুরক্ষা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এমন খবর জানিয়ে লিখেছে, মহামারির অবসানে গোটা বিশ্বে দ্রুততার সঙ্গে করোনার টিকার অনুমোদন নিয়ে এখনও চলছে সমালোচনা। এর মধ্যেই ইউরোপের একটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টিকার সুরক্ষা নিয়ে এমন সতর্কবার্তা এলো।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যে ২৩ জন মারা গেছেন এর মধ্যে ১৩ জনের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়ার পর প্রবীণদের জন্য টিকার সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

নরওয়ের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বলছে, ‘মারাত্মকভাবে দূর্বল ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক করোনার টিকার হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মক পরিণতি ঘটাতে পারে। আর এমনটা হতে পারে যাদের বয়স অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রেও।‘

উল্লেখিত শঙ্কার কথা জানালেও দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অবশ্য এমন কোনো নির্দেশনা জারি করেনি যে, তরুণ ও সুস্থ মানুষদের টিকা নেওয়া উচিত হবে না। তবে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মূল্যায়নে নরওয়ের জানানো এমন তথ্যকে বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূটির আগাম সতর্কবার্তা, বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) নতুন প্রধান ইমার কুক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একবার গণহারে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজটি হয়ে গেলে টিকাটির সুরক্ষার বিষয়টি নজরদারি করাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর ১৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যে ১৯ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয় এর মধ্যে ১১ জনের মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী টিকা নেওয়ার এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ১১ দশমিক এক জন।

গত মাস থেকে নরওয়েতে করোনার ভ্যাকসিন মানবদেহে পুশ করা শুরু হয়। ইউরোপীয়ান মেডিসিন অ্যাজেন্সি অনুমোদিত ফাইজার-বায়োনটেকের টিকাটিই দেশটিতে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নরওয়ে ইতোমধ্যে আনুমানিক ৩৩ হাজার মানুষকে টিকা দিয়েছে। মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়বেন এমন বিবেচনায় দেশটিতে সবার আগে প্রবীণ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৩৭ জন। ইউরোপের ঠান্ডাপ্রধান দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।