জাতীয়

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

(Last Updated On: )

মে মাসে নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী এক প্রেস বিফ্রিংয়ে আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেন। এরপরই বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘গত ১১ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। শিক্ষাব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা ক্রমশ জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সরকার অনলাইন ক্লাসের মুলা ঝুলিয়ে দিলেও বাস্তব চিত্র হচ্ছে দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছে অনলাইন ক্লাস করার জন্য উপযোগী ডিভাইস নেই।’

তারা বলেন, ‘বিভিন্ন পরিসংখ্যানে আমরা দেখেছি ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। মুখে ‘উন্নয়নের’ বুলি আওড়ানো সরকার শিক্ষাব্যবস্থা রক্ষায় কোনো প্রণোদনা ঘোষণা করে নাই। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে, বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ এ সরকার।’

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ‘দেশের সব প্রতিষ্ঠান করোনা মহামারির ভেতর চালু থাকলেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দেড় লাখ আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে কেন তিন মাস সময় লাগবে সেই প্রশ্নও আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রাখতে চাই।’

তারা আরো বলেন, ‘টানা ১১ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সেশনজটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা শেষে এ দেশে কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোয় বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে না। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পায়তারা করছে সরকার।আমরা এই অপচেষ্টা রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’