সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে।
বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৭ জুন ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরপর ২৮ জুন আট হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। গত বছর দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫৬৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৫ হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ লাখ আট হাজার ৯২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার হাজার ৫৫০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১১৫ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন মারা যান।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, রাজশাহীতে ২৩ জন, খুলনায় ৩০ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।