আজ বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর দুই ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান সেন্টার্ড রিকোভার : ন্যারোইং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’। কম্পিউটার সাক্ষরতা বলতে মূলত বুঝানো হয় কম্পিউটার বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতা। কম্পিউটার বিষয়ক সঠিক ও পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং তা প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করার সক্ষমতাই হলো কম্পিউটার সাক্ষরতা। বিশ্ববাসীকে কম্পিউটার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতেই দিবসটি উদযাপন করা হয়। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে কম্পিউটার জ্ঞান ছাড়া ব্যক্তি যেন তলা বিহীন ঝুড়ির মতো। মানুষকে অতীতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে নিরক্ষর বলা হতো, এখন শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞান না থাকাটাও নিরক্ষরতার চিহ্ন।
বিআরটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৯ কোটি ৫ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি লোক মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাকি অল্প কিছু লোক কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন এবং কম্পিউটার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন। ২০১৮ সালের এক তথ্য মতে, বাংলাদেশে মাত্র ৬ শতাংশ লোক কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞান সম্পন্ন। বর্তমানে এর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে কম্পিউটার ব্যবহারে।
সঠিকভাবে জীবন যাপনের জন্য কম্পিউটার জ্ঞানের বিকল্প নেই। উন্নত দেশ গুলোতে এসব সেবা বহু আগে থেকেই চলে আসছে কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিলো এতদিন। ডিজিটালাইশনের কারণে বাংলাদেশও এসব সেবা দানে গ্রহণ করছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।