জাতীয়

‘দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অসৎ উদ্দেশ্যে নথি চুরি করেছেন রোজিনা’

(Last Updated On: )

রোজিনা ইসলাম দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সুকৌশলে, অসৎ উদ্দেশ্যে করোনা সংক্রান্ত বিশেষ গোপন নথি চুরি করেছেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ একথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়, যা চলে ২টা পর্যন্ত। আদালত শুনানি শেষে তাৎক্ষণিক আদেশ না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে ২৩ মে আদেশের কথা বলেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ এবং রোজিনা ইসলামের পক্ষে প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও এহসানুল হক সমাজীসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী অংশ নেন। তারা সকাল থেকে ভার্চুয়াল শুনানির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া আদালতে রোজিনার বোন, স্বামী ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ যুক্তি উপস্থাপন করে আদালতকে বলেন, এই মামলাটি অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ দণ্ডবিধির ৩৭৯ এবং ৪১১ ধারার মামলা। যেগুলো সমস্ত জামিন অযোগ্য ধারার মামলা। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ এবং ৫ ধারায় ১৪ বছর থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। আর যেহেতু এই আসামি করোনা সংক্রান্ত বিশেষ গোপন নথি কোনো অনুমতি ছাড়াই চুরি করে সেগুলো তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছেন এবং সেখান থেকে ছবি তুলে নিয়েছেন। সেই কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সঙ্গত কারণেই তিনি এই ধারাগুলোর অপরাধ করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই করোনার সময়ে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যখন ভারত থেকে করোনার টিকা আসা বন্ধ হয়ে গেছে, ঠিক তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চীন এবং রাশিয়া থেকে টিকা আনার জন্য। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যখন সিদ্ধান্ত হয় সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য, দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার জন্য সুকৌশলে আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করেছে।

সেজন্য আমরা বিজ্ঞ আদালতকে বলেছি, এই মামলাটি যেহেতু তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই মামলা নিষ্পত্তি হওয়া আগ পর্যন্ত, তথ্য উদঘাটন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে রাখার জন্য আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, আমরা ভিডিওতে দেখেছি রোজিনা ইসলাম তার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং মুচলেকা দিতে চেয়েছেন। সেই ভিডিওটি আমরা আদালতে শিগগিরই উপস্থাপন করবো। আদালত সেগুলো বিবেচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।