আন্তর্জাতিক

দাড়ি কামাতে মোদিকে ১০০ টাকা দিলেন চা বিক্রেতা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার তলানিতে। খেতে পাচ্ছে না বহু মানুষ। অর্থনীতির সূচক বাড়ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দাড়ি বাড়ছে প্রতিদিন। এই দৃশ্য আর ‘সহ্য’ করতে পারলেন না ভারতের মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা। তাই নরেন্দ্র মোদিকে বেকারত্বের সমস্যা জানিয়ে লেখা চিঠির সঙ্গে পাঠালেন ১০০ টাকা। লিখলেন একটি বিশেষ বার্তা, ‘এই ১০০ টাকা দিয়ে দাড়ি কামিয়ে ফেলুন।’

ঘটনাটি ঠিক কী? মুম্বাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর সম্প্রতি শোরগোল ফেলেছে। জানা গেছে, অনীল মোরে নামক এক চা বিক্রেতা মোদিকে দাড়ি কামানোর জন্য ১০০ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ এই পদক্ষেপ নিলেন তিনি?

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে হতাশ অনীল নামের এক চা বিক্রেতা। করোনা সংক্রমণের জেরে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মহারাষ্ট্রের ইন্দাপুর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিপরীত দিকে চায়ের দোকান অনীলের। চোখের সামনে নিজের ব্যবসার পাশাপাশি বহু বন্ধু, প্রতিবেশীদের কাজ হারাতে দেখেছেন তিনি।

দেশটির গণমাধ্যমকে অনীল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি তার দাড়ি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তার আসলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি, টিকাদানের গতি আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। করোনার দুটি ঢেউ সাধারণ মানুষকে যে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তারা সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে, তা দেখা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর।’

এখানেই শেষ নয়, ওই চা বিক্রেতা আরও বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি। এই টাকা দিয়ে তাকে দাড়ি কামিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করতে চাইছি না। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের গরিব মানুষরা যেভাবে সমস্যায় ভুগছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ওয়াকিবহাল নন। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অনীল আরও লিখেছেন, ‘যে সমস্ত পরিবার করোনায় আপনজন হারিয়েছেন তাদের ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা উচিত সরকারের।’ আর যেসব পরিবার লকডাউনের জন্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের ৩ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।