স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরা খাবারের চার্ট ঠিক করি কিন্তু ত্বকের কথা চিন্তা করি না। কিন্তু আমরা যা খাই তা শরীরের সাথে ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যে থাকা ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই জরুরি। ত্বক সতেজ,উজ্জ্বল,চকচকে সতেজ রাখতে ভিটামিন- এ এর জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্নে ভিটামিন এ কতটা উপকারী চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ৭০০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন- এ এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন- এ জরুরি। ভিটামিন এ ত্বককে কীভাবে ভালো রাখে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ভিটামিন এ তে রেটিনল থাকে যা ত্বকের নতুন কোষ উৎপাদনে সাহায্য করে।
২. সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন এ।
৩. ত্বকের কালচেভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
৪.ত্বকের রিংকেলস কমায়।
৫.ব্রণের সমস্যা দূর করে। ত্বককে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।
৬.দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও ভিটামিন এ জরুরি।
এখন প্রশ্ন হলো কোন কোন ভিটামিন এ আছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গাজর:
গাজরের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ গাজর দৈনিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এর ৩৩৪ শতাংশ সরবরাহ করে।
পালং শাক ও মেথি:
পালং শাক ও মেথিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় এ খাবারগুলো রাখুন।
ডিমের কুসুম:
ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি ভিটামিন এ রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য প্রতিদিন অবশ্যই একটা করে ডিম খান।
কুমড়া:
কুমড়াতে আলফা ক্যারোটিন থাকে যা শরীরে ভিটামিন এ রুপান্তর হয়। ১০০ গ্রাম কুমড়া থেকে আমরা ২১০০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন এ পেতে পারি।
টমেটো:
ভিটামিন এ ও সি এর ভালো উৎস টমেটো। রান্না করে, সালাদ বানিয়ে যেভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন।
ব্রকোলি:
ব্রকোলি ভিটামিন এ এর ভালো উৎস। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ব্রকোলি যোগ করুন।