তালেবানকে ঠেকাতে নতুন একটি বিল উত্থাপন করতে চলেছে মার্কিন সিনেট। এই বিলের আওতায় তালেবানের উত্থানে পাকিস্তান কতটা জড়িত, কীভাবে আফগানিস্তানের জঙ্গিবাদ দমন করা হবে এবং দেশটির উপরে জঙ্গিবাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে কি কি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। তালেবান এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে- এমনটাই বলা হয়েছে গত সোমবারের উত্থাপিত বিলটিতে।
‘আফগানিস্তান কাউন্টার টেরোরিজম, ওভারসাইট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যাক্ট’ নামের এই বিলটির আওতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়াও একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যাদের কাজ হবে আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা, সেইসঙ্গে যেসব আফগান নাগরিক এতদিন মার্কিনিদের সাহায্য করেছেন, তাদের আফগানিস্তান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া।
এছাড়াও পাকিস্তান সরকার, বর্তমান আফগান তথা তালেবান সরকারের সঙ্গে কতটা জড়িত সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখতেও এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান নিজেদের দেশের স্থলভাগ ব্যবহার, আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে তালেবানকে সহায়তা করেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়াও চলতি সেপ্টেম্বরে পানশির উপত্যকায় সাধারন নাগরিকদের উপর হামলার সাথে পাকিস্তান জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া তালেবান সরকারের সদস্য এমন কাউকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘আফগান কূটনৈতিক প্রতিনিধি’ হিসেবে গ্রহণ করবেন না বা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘সাক্ষাৎ’ বা ‘মত বিনিময়’ করবেন না বলেও বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষমতাবলে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদেও তালেবানের কোনো সদস্যকে আফগান প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দিতে বাধা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, এই নতুন বিলটির বিষয়ে মার্কিন সিনেটর জিম রিচ বলেছেন, ‘এখনো অনেক মার্কিনি ও তাদের সহযোগী আফগান নাগরিক আফগানিস্তনে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। তাদের ফিরিয়ে আনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সেইসঙ্গে তালেবানরা যেভাবে আফগান নারী ও শিশুদের আধিকার হরণ করছে সেই বিষয়টিও খুবই উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন জিম। এইসব ব্যাপার মাথায় রেখেই এই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জিম রিচ ছাড়াও আরও ২২ জন সিনেটর এই বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছেন।