জাতীয়

ডাকাতির শাড়ি বাড়ি নিয়ে বিপাকে 

(Last Updated On: )

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ডাকাতির শাড়ি বাড়ি নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) ও ভগ্নিপতিসহ ডাকাত দলের চার সদস্য।  

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমাদ মাইনুল হাসান।

এর আগে সোমবার দুপুরে বরিশালের কাউনিয়া এলাকার মরকখোলা থেকে দু’জনকে এবং বাউফল থেকে অপর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-রিয়াজ হাওলাদার (৩৫), তার ছোট বোনের স্বামী হেমায়েত সিকদার (৪৭), অরুণ দাস (৩৫) ও ইসমাইল গাজী (৫৫)।  

এছাড়া ডাকাতির স্বর্ণ কেনার অভিযোগে গৌতম কর্মকার (৪৪) ও মনোজ কর্মকার (৩৮) নামে দুই জুয়েলার্সের মালিককেও গ্রেফতার করা হয়।

ডাকাত দলের আটক সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে রিয়াজের নামে ছয়টি, ইসমাইলের নামে চারটি, অরুণ দাসের নামে একটি ও রিয়াজের ভগ্নিপতি হেমায়েত ওরফে মিলন কিছুদিন আগেই ডাকাতি মামলায় সাত বছর সাজা খেটে বের হয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ১ জুলাই দিনগত রাতে বাউফলের নুরাইনপুর এলাকার রুহুল আমিন সিকদারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ১০ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও সোনার গহনাসহ ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার মালপত্র লুটে নেয়।

এ ঘটনায় গত ৩ জুন রুহুল আমিন বাদী হয়ে বাউফল থানায় অজ্ঞাতনামা ১০ জনের নামে মামলা করলে তদন্তে নামে পুলিশ। সাদা পোশাকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে এক ডাকাত সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি করে আনা একটি শাড়ি পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। ডাকাতির সব সোনার গহনা বিক্রি করলেও শাড়িসহ কিছু জিনিসপত্র বাড়ি নিয়ে যান ওই ডাকাত সদস্য। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একে একে ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত ইসমাইলের বাড়ি থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ডাকতি করে আনা সোনার গহনা কেনার অভিযোগে গৌতম কর্মকার ও মনোজ কর্মকার নামে দুই জুয়েলার্সের মালিককেও আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।