টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে লাঞ্ছনা ও অশালীন আচরণের অভিযোগে ডিএমপির সেই কনস্টেবল নাজমুল হাসান তারেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টা ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অভিযুক্ত নাজমুল হাসান তারেক পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে আমরা তাকে চিহ্নিত করেছি।’
এর আগে গত ১ এপ্রিল নিজ কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় টিপ পরার কারণে লাঞ্ছনার শিকার হন লতা সমাদ্দার। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক।
গণমাধ্যমে এমন ঘটনা প্রকাশের পর তা নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সংসদেও এ নিয়ে সমালোচনা হয়। অনেকেই আবার টিপ পরা আমার অধিকার এমন বক্তব্যের পাশাপাশি টিপ পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি আপলোড করেন।
শনিবার (২ এপ্রিল) সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফার্মগেট মোড় পার হয়ে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। সেজান পয়েন্টের সামনে বন্ধ করে রাখা মোটরবাইকের ওপর বসে ‘ওই টিপ পরছোস কেন’ বলেন ওই কনস্টেবল। তখন ওই নারী পেছন ফেরে প্রতিবাদ করলে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ইভটিজিং করা ওই ব্যক্তির নাম বা পদবি খেয়াল করতে পারেননি তিনি। তবে গালিগালাজের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি বাইক স্টার্ট করে প্রায় নারীর গায়ের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছিলেন। ওই নারী পিছিয়ে গেলেও তার পায়ে আঘাত লেগেছে।
বাইকটির নম্বর ১৩৩৯৭০ হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই নারী। পাশাপাশি পুলিশি পোশাকে থাকা ব্যক্তিটি দৈহিক গঠন ও দেখতে কেমন সেটা উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়েছে, তার মুখে দাড়ি আছে, দেখতে মোটা এবং অনুমান করতে পেরেছি তিনি মধ্যবয়সী।