চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা পরিশোধেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ ফারজানা আক্তারের আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফটিকছড়ির জালাল আহমেদের ছেলে শাহীন, মৃত মজাহার মিয়ার ছেলে বাবুল, হাফেজ দেলোয়ারের ছেলে নুরুল ইসলাম, মুন্সি মিয়ার ছেলে যোবায়ের, আবু আহমদের ছেলে দিদার, মৃত শাহ আলমের ছেলে আবু বক্কর প্রকাশ বাসিক, খায়ের আহমদের ছেলে জংগু এবং আব্দুল মালেকের ছেলে ইছমাইল।
আদালত সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি উপজেলার রাংগামাটিয়া গ্রামের প্রবাসী নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা।
পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাংগামাটিয়া গ্রামের একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কে তার স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করে পুলিশ মোট ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন। বিচার চলাকালে নাছির নামে একজন মারা যান। পরবর্তীতে তাকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাংগামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।