চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলার এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এই তালিকা গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেয়া হবে। অন্যদিকে, এবার ব্যাপক পরিসরে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পরিকল্পনা নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের তালিকা দিয়েছে। আমরা সেই তালিকা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের জানিয়েছেন, সবকিছু সুরক্ষা এ্যাপে নিবন্ধন করে দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ১ নভেম্বর থেকে আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। ঢাকায় ১২টি কেন্দ্র আমরা ঠিক করেছি। সেগুলো শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত হবে।” চট্টগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, টিকার আওতায় আনতে চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলার ৮৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৬৮২টি বিদ্যালয়, ৪৮টি স্কুল এন্ড কলেজ এবং ১০৪টি কলেজ রয়েছে। এই তিন ক্যাটাগরির এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পহেলা নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রথম ধাপে ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। দেশের সব জেলার এই বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে পরবর্তী সময়ে। স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলার ৮৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তালিকা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
এরমধ্যে ৬৮২টি বিদ্যালয়, ৪৮টি স্কুল এন্ড কলেজ এবং ১০৪টি কলেজ রয়েছে। এই তিন ক্যাটাগরির এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা আমরা গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির যাদের বয়স ১৭ বছরের ভিতরে রয়েছে, শুধুমাত্র তাদের তালিকা আমরা পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে আমরা থানা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলোতে সরকারের নির্দেশনা জানিয়েছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তালিকা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাতে বলেছি। থানা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের জেলা শিক্ষা অফিসে এই তালিকা পাঠিয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তালিকা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে জেলা শিক্ষা অফিসার আরো বলেন, মাদ্রাসাবোর্ড যেহেতু আলাদা। তাই চট্টগ্রামের ৩১৪টি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর তথ্য আলাদাভাবে যাবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য আমাদের তালিকার বাইরে রয়েছে।