পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি রাজনৈতিক হিংসা। ভোট-পরবর্তী হিংসা ও হানাহানির বিভিন্ন ঘটনার পর এবার কামড়ে তৃণমূল নেতার কানের লতি ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের মন্দিরতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরতলা বাজারের বিজেপির পার্টি অফিসের পাশের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন দাস নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। সেই সময় ওই চায়ের দোকানে খালেক শা নামের এক বিজেপি কর্মীও বসেছিল। ওই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন মনোরঞ্জন। এরপরেই ওই বিজেপি কর্মীর সেখান থেকে উঠে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের পার্টি অফিসের ভেতর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসেন এবং মনোরঞ্জনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। ঘটনার সময় মনোরঞ্জনের পাশে গোপাল দাস নামের আরও একজন তৃণমূল কর্মী বসে ছিলেন। খালেককে নিরস্ত্র করতে তিনি ওই অস্ত্রটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর মনোরঞ্জনকে ছেড়ে ওই ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে খালেক। তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন।
বিষয়ট জানাজানি হতেই সেখানে উপস্থিত হন অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। তারা ওই বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে ধারালো অস্ত্রটি ছিনিয়ে নেন। কিন্তু তারপরও খালেক শা খালি হাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং কামড়ে মনোরঞ্জনের কানের লতি ছিঁড়ে নেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত নয়।
এদিকে এই ঘটনার পর, খালেক শা’য়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।