জাতীয়

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে দেশে প্রথম মৃত্যু

(Last Updated On: )

ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশ ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ক্যানসারে আক্রান্ত দুই রোগী। এদের মধ্যে একজন মহামারি করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর এ তথ্য আজ সোমবার (১৭ মে) নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে আসছিল। বলা হচ্ছিল এই ভ্যারিয়েন্ট দেশে ঢুকলে বিপদ অনেক বেশি হবে। এরই মধ্যে দেশে ঢুকে পড়েছে, এমনকি প্রথমবারের মতো মৃত্যুর ঘটনাও ঘটালো।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংক্রমণের তুঙ্গে থাকা এই ভ্যারিয়েন্ট গত ৮ মে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে শনাক্ত হয়। ভারত ফেরত ছয়জনের শরীরে এটি শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।

এদিকে ভারত ফেরত রোগীদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় গেল ১৩ মে। আসমা বেগম নামের ওই নারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা ছিলেন। কিডনি রোগের চিকিৎসা শেষে আসমা যশোর সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। এরপর তাকে যশোরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।  

বিশেষ ব্যবস্থায় পরে আসমাকে যশোর থেকে সিলেটে নিয়ে আসার পর জানা যায় তিনি করোনা পজেটিভ। এরপর সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

একইদিনে অর্থাৎ ১৩ মে যশোর হাসান হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা আম্বিয়া খাতুন (৩৩) নামে এক ক্যানসার রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। 

এছাড়া যশোরের বলাকা হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত বিমল চন্দ্র দে (৬০) নামে ক্যানসার আক্রান্ত এক ব্যক্তি গতকাল রোববার মৃত্যুবরণ করেন। কোয়ারেন্টাইনে তার সঙ্গে তার স্ত্রী ও ছেলেও ছিল।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছিলেন, বিমল চন্দ্র ফুসফুসের ক্যানসারে লাস্ট স্টেজে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তবে বিমল চন্দ্র, তার স্ত্রী ও ছেলের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে।