কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদরাসায় হামলায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুদিনে ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন সদস্যরা। এর মধ্যে পাঁচজন এজাহার নামীয় ও অন্যদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন। তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে ক্যাম্প-১৮ এর এইস-৫২ ব্লক অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ’ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকের ওপর দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। এ হামলায় ছয়জন নিহত হন।
ওই ঘটনায় নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য ক্যাম্প ১১ এর আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমানকে দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযানে চালিয়ে এজাহারনামীয় পাঁচজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে মুজিবুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে।
গ্রেপ্তার বাকি ৯ আসামি হলেন, ক্যাম্প-৮ এর আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯ এর নুর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩ এর আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২ এর ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০-এর ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৮)।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার ১৮ নং ক্যাম্পে এর দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদরাসায় মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ৮/১০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন ও পরে হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়।