জাতীয়

‘কওমি-দ্বীনি মাদরাসায় করোনা আসবে না’

(Last Updated On: )

কওমি-দ্বীনি মাদরাসায় করোনা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, যেখানে হাদিস-কোরআন পাঠ করা হয়, ইনশাল্লাহ সেখানে করোনা আসবে না।

রোববার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহিলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় হেফাজতে ইসলামের আমির করোনার ব্যাপক সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসা বন্ধের নির্দেশনারও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। সেই হিসেবে দেশের স্বার্থে কওমি মাদ্রাসার কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ অব্যাহত রাখার অনুমতি প্রদান করা হোক।

তিনি বলেন, করোনার নামে লকডাউন দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না। কওমি-দ্বীনি মাদরাসায় হাদিস-কোরআন পাঠ করা হয়, সেগুলো বন্ধ করা যাবে না। আমরা মাদরাসা খোলা রাখছি করোনা না আসার জন্য।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘যেখানে হাদিস-কোরআন পাঠ করা হয়, ইনশল্লাহ সেখানে করোনা আসবে না। করোনায় এ পর্যন্ত কোনো মাদরাসার ছাত্র আক্রান্ত হয়নি, কোনো হুজুর আক্রান্ত হয়নি। যারা বেশি করোনা থেকে বাঁচতে চায়, তারা বেশি আক্রান্ত হয়।’

মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘মসজিদে নামাজ বন্ধ করা যাবে না। জুমার নামাজে ১০ জন, এমনিতে পাঁচজন- এই ধরনের শরিয়তবিরোধী কোনো বিধিনিষেধ মানা যাবে না। মসজিদে নামাজ চলবে। সামনে রমজান। তারাবির নামাজও চলবে।’

বাবুনগরী আরো বলেন, কওমি মাদ্রাসায় একটা কালেকশন আসে রমজান মাসে। এই লকডাউন দিয়ে এগুলো বন্ধ করতে চাচ্ছে সরকার।

এ সময় মামুনুল হকের অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুনগরী বলেন, আজকের বৈঠকে কাউকে বহিষ্কার বা অব্যাহতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।

বৈঠক থেকে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক-তৌহিদী জনতার উপর পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৯ মে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের এ বৈঠক শুরু হয়, যা চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এতে হাতেগোনা হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আগামী ২৯ মে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন ঘোষণা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান বাবুনগরী।