জাতীয়

এটি গরিব মারার বাজেট: মির্জা ফখরুল


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

প্রস্তাবিত বাজেট অবাস্তবায়নযোগ্য, কাল্পনিক ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই বাজেট দেশের মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা সেটি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি গরিব মারার বাজেট।’

শুক্রবার (০৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিপাদ্য শব্দমালার মাঝেই এবারের বাজেটের ভাওতাবাজি পরিষ্কার। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন গত ১৮ মাস ধরে অচল। এর মধ্যে অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শাটডাউনে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবন চূড়ান্ত রকমে থমকে গেছে। অথচ সুস্পষ্টভাবে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় না রেখে কেবল অর্থনীতির নানা তত্ত্ব ও বিশাল সংখ্যার আর্থিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কার্যত জনগণের সঙ্গে এক ধরনের ভাওতাবাজি করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি ও প্রতারণা করেছে। বাজেটে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। করোনা অতিমারিকালে এই বাজেট কাগুজে ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণকে কোভিডের মহাসংকট থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা নেই। এটি দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। জনগণের সমর্থনবিহীন সরকারের রাষ্ট্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই এ বাজেটে জনস্বার্থের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। এটি দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। বিদেশি ঋণ জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে পরিশোধ করা হবে।’

তিনি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট হচ্ছে জিডিপির মাত্র ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০২১ অর্থ বছরের মূল বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা ছিল ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ হিসেবে বাজেটের প্রকৃত বৃদ্ধির পরিবর্তে সংকুচিত হয়েছে। যে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের জন্য বাজেটে কোনো পদক্ষেপ নেই। রপ্তানি খাতে ২ শতাংশ ভর্তুকির সুবিধা পাবে অর্থ পাচারকারীরা। বড় প্রকল্পে লুটপাটের সুযোগ বেশি, তাই সরকার গরিব-অসহায়দের প্রণোদনায় আগ্রহ দেখায় না।

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজউদ্দীন নসু, সহ-বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।