প্রধান পাতা

আমুচিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্যানেল: হুমকিতে প্রার্থীরা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বোয়ালখালীতে আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজল দে গঠন করেছেন নির্বাচনী প্যানেল। তাঁর মনোনীত ৯ সাধারণ সদস্য ও ৩ সংরক্ষিত আসনের সদস্য প্রার্থী নিয়ে এ প্যানেলে গঠন করার অভিযোগ উঠেছে।

এ প্যানেলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সদস্য প্রার্থীও স্থান পেয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে এ ইউনিয়নের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজল ও তার ভাতিজা সঞ্জয় দে কাস্তে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অনুপম বড়ুয়া ও সকল ওয়ার্ডের প্যানেল বর্হিভূত অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে সাধারণ সদস্য প্রার্থী দিলীপ কুমার দেব, পংকজ চন্দ, মো. জাফর, মাহবুবুল আলম, শেখ মো. কামালসহ একাধিক প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমুচিয়ায় প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এ প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দিতে ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকিত। স্থানীয় সুবল দাসসহ সাধারণ ভোটাররা বলেন, ইউপি নির্বাচনে সিন্ডিকেটের ঘটনা এই প্রথম দেখছি। এর মাধ্যমে চেয়ারম্যানের আজ্ঞাবহ প্রার্থীকে জিতিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার নীল নকশা করা হয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী দিলীপ কুমার দেব জানান, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী প্যানেলের সদস্য হওয়ায় পর থেকে লোকজন নিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। এবার সিন্ডিকেট হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তিনি রবিবার (২ জানুয়ারি) সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ইউনিয়নের কাস্তে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অনুপম বড়ুয়া বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কাজল দে দিশেহারা হয়ে প্যানেল গঠন করেছেন। তার অতীত কর্মকান্ডে পরাজয়ের ভয়ে তিনি ও তার ভাতিজা সঞ্জয় দে বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করে আমার কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ সদস্য প্রার্থীদেরও হুমকির ওপর রেখেছেন। জনগণ এ সিন্ডিকেটকে ব্যালেটের মাধ্যমে সময়োচিত জবাব দেবেন।

এ ব্যাপারে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কাজল দে দলীয় মনোনয়ন পেয়েই নির্বাচিত হয়ে গেছেন প্রচার করে তারই মনোনীত ইউপি সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে টাকার বিনিময়ে এ প্যানেল গঠন করেন। এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী কাজল দে এর মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগে চেষ্ঠা করলে তিনি সাড়া না দেওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।