আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান। তালেবান যোদ্ধাদের ওপর সরকারি হামলা বাড়ানোর প্রতিশোধ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা।
গতকাল বুধবার তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাবুল সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের জবাবে ওই আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়িতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দেশটির রাজধানী কাবুলের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আফগান সরকার নিরপরাধ ও বেসামরিক লোকজনের ওপর বোমা হামলার নির্দেশ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তালেবান। তবে হামলায় বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদি অক্ষত থাকলেও এতে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ২০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
এই হামলার বিষয়ে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদী বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশেই বাসভবন লক্ষ্য করে ওই গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা চালিয়ে দেশরক্ষার মহান দায়িত্ব থেকে তাকে দূরে সরানো যাবে না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তবে হামলার পর আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফলভাবে হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হত্যা করা হয়েছে হামলাকারীদের। নিরাপত্তা বাহিনী বহু মানুষকে উদ্ধার করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে অব্যাহত রয়েছে তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ। হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহসহ দেশটির প্রধান তিনটি শহর দখলে মরিয়া তালেবান। গতকাল বুধবারও এ তিনটি শহরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। গোষ্ঠীটিকে রুখতে সেনা অভিযান জোরদারের ঘোষণার পর থেকেই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।