জাতীয়

আদালত প্রাঙ্গণে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে ‘কোনোভাবেই কাম্য নয়’

(Last Updated On: )

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে কোনোভাবেই কাম্য নয়, কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মতবিনিময় সভায় নাছিমা বেগম এ কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ভালোবাসার সম্পর্ক থাকার পর প্রতারণা বা অন্য কোনো কারণে মামলা করে, তারপর আপস হয়। আসামি জামিনে বের হলে আদালত প্রাঙ্গণেই বিয়ের ঘটনা ঘটে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আলামত পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। মামলাটিও শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করা যায় না।

প্রচলিত আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন, বিচারের দীর্ঘসূত্রতার পেছনের কারণগুলোও কমিশনের পক্ষ থেকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান নাছিমা বেগম।
সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য সাবেক জেলা জজ জেসমিন আরা বেগম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ৮০ শতাংশই প্রেম, প্রতারণা বা বিয়ের প্রলোভনে সম্মতির মাধ্যমে ঘটছে। আর ২০ শতাংশ ঘটছে জবরদস্তির মাধ্যমে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সময় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

নিজের ৩১ বছরের বিচারকজীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে জেসমিন আরা বেগম বলেন, ‘আমার আদালতে দেখেছি এবং আট বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়েও প্রায় সবার মতামত হচ্ছে, ধর্ষণের ৮০ শতাংশই ঘটছে প্রেমসহ অন্যান্য কারণে। আর এই ঘটনাগুলোতে একসময় সব সাক্ষী পাওয়া গেলেও ভিকটিম আর সাক্ষ্য দিতে আসেন না। মামলা আপস করে ফেলেন। আইন অনুযায়ী, ভিকটিমকেই বিচার চাইতে হয়।’