পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরানের বিরুদ্ধে ফের ঘোরতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, ইমরান খান তার বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবিকে শরিয়ামতে বিয়ে করেননি। ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা ধর্মগুরুই এ অভিযোগ করেছেন। বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালে ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ের দায়িত্ব সম্পন্ন করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ। তিনি বলেছেন, বুশরা বিবির ইদ্দতকালে এ বিয়ে হয়েছে।
ইদ্দত সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বামী যদি নারীকে তালাক দেয় বা কোনো নারীর স্বামী মারা যায় তাহলে অন্তত তিনমাস ওই নারী অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে না।
পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুশরা বিবিকে ইদ্দতকালীন বিয়ে করায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের শুনানির সময় গতকাল বুধবার মোহাম্মদ সাঈদ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে মুহম্মদ হানিফ এই পিটিশনটি দাখিল করেছেন। এর পরেই বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, ‘ইমরান খানের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। ইমরান খান বুশরা বিবির সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর জন্য তাকে লাহোরে নিয়ে যান।’
মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ আরও জানান, বুশরা বিবির বোন হিসেবে পরিচয় দেওয়া এক নারী তাকে সেইসময় জানান ইমরান ও বুশরা বিয়ের সমস্ত শরিয়া শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সাঈদ দাবি করেন, তিনি ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন এবং সেদিন থেকে এই দম্পতি একসঙ্গে থাকা শুরু করে।
মোহাম্মদ সাঈদ আরও দাবি করেছেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইমরানের সঙ্গে তার আবার কথা হয়, তখন তিনি ইমরান খানকে এ বিয়ে আবার করতে বলেন। দাবি করেন, বুশরা বিবির ইদ্দতকালীন সময় শেষ হয়নি তখন। কারণ বুশরা বিবির ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনকে সাঈদ বলেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবি নিছক একটি ভবিষ্যদ্বাণীর কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ এবং অনৈসলামিক মিলনে প্রবেশ করেছেন। ইমরান খান বিশ্বাস করেছিলেন তিনি ২০১৮ সালে নববর্ষের দিনে বিয়ে করলে প্রধানমন্ত্রী হবেন।